
| বুধবার, ০৭ মে ২০২৫ | প্রিন্ট | 37 বার পঠিত
অর্থবিজ প্রতিবেদক :
দেশের জীবন বীমা খাতে মোট বীমা দাবী পরিশোধের পরিমান আগের বছরের তুলনায় ৬ শতাংশ কমেছে। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বীমা দাবী পরিশোধ করা হয়েছে ৬ শতাংশ কম।
দেশে ২০২৪ সালে ৩৫টি বীমা কোম্পানির মোট বীমা দাবী উত্থাপিত হয় ১২ হাজার ৯৬৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে কোম্পানিগুলো পরিশোধ করে ৮ হাজার ৫৯০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। বছর শেষে ৪ হাজার ৩৭৫ কোটি ৬ লাখ টাকা বীমা দাবি অনিষ্পন্ন থাকে।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষে (ইড্রা) ৩৫টি জীবন বীমা কোম্পানির জমা দেয়া অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য বিশ্লেষনে এ এই তথ্য জানা গেছে ।
জানা গেছে, ২০২৪ সালে মোট বীমা পরিশোধের হার ছিল প্রায় ৬৬ শতাংশ। ২০২৩ সালে এই হার ছিল ৭২ শতাংশ। ২০২২ সালে এ হার ছিল ৬৭ শতাংশ। উল্লেখিত বছরে দাবী পরিশোধের পরিমান ৬ শতাংশ কমেছে। অর্থাৎ দাবির অঙ্ক বাড়লেও নিষ্পত্তির হার কিছুটা কমেছে।
জানা গেছে, মেটলাইফ বাংলাদেশ ২০২৪ সালে এককভাবে পরিশোধ করেছে ২৮৯৫. ১৯ কোটি টাকা। দাবী পরিশোধের দিক থেকে এ কোম্পানিটি শীর্ষে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। এই কোম্পানিটি এ সময়ে ১২৮০. ৮৭ কোটি টাকা দাবী পরিশোধ করেছে। ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ১০৪৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা পরিশোধ করে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। জীবন বীমা কর্পোরেশন ৬৫১.১৭ কোটি টাকা বীমা দাবী পরিশোধ করে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৪৪৯.১৮ কোটি টাকা, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৩৯১.৮৩ কোটি টাকা, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৩৮৯.৩৮ কোটি টাকা, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৩৮০.৮০ কোটি টাকা, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৩৬২.৯৮ এবং প্রাইম ইসলামী লাইফ ৩০৬.৮৫ কোটি টাকা বীমা দাবি পরিশোধ করেছে।
৩৫ কোম্পানির মধ্যে আলফা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (এলআইসি) শতভাগ দাবি নিষ্পত্তি করেছে। তবে এই কোম্পানি দুটির দাবী পরিশোধের পরিমান হচ্ছে যথাক্রমে ৩২.৮৪ কোটি টাকা ও ২.৪৮ কোটি টাকা।
২০২৩ সালে অনুমোদনপ্রাপ্ত শান্তা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কোনো বীমা দাবি জমা পড়েনি। আর ১৯৯৯ সালে অনুমোদনপ্রাপ্ত গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০২৪ সালের জন্য কোনো আর্থিক প্রতিবেদন দাখিল করেনি।
বীমা আইন অনুযায়ি প্রতিবছর আর্থিক বিবরণী জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। তবে সব কোম্পানি এ নিয়ম মানছে না।
বীমা বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবন বীমা খাতে ক্রমবর্ধমান বীমা দাবি প্রমাণ করে এই খাতের বিস্তার ঘটছে। তবে অনিষ্পন্ন দাবির অঙ্কও বাড়ছে, যা খাতের আর্থিক শৃঙ্খলার জন্য উদ্বেগজনক। একজন বীমা বিশ্লেষক বলেন, যত দ্রুত দাবি নিষ্পত্তি হয়, গ্রাহকের আস্থা তত বাড়ে। তাই অনিষ্পন্ন দাবির অঙ্ক কমাতে কোম্পানিগুলোকে আরও কার্যকর ব্যবস্থাপনা এবং পর্যাপ্ত তহবিল সংরক্ষণ করতে হবে। একজন বীমা বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে জীবন বীমার কোম্পানিগুলোতে দাবি পরিশোধের চাপ বাড়ছে। কিন্তু কোম্পানিগুলোর ব্যবসা সেই আনুপাতিক হরে বাড়ছে না। এতে কোম্পানিগুলোতে আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও সক্ষমতার ওপর চাপ বাড়ছে।
Posted ৩:২৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৭ মে ২০২৫
Arthobiz | zaman zaman